পাংতুমাই সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে অবস্থিত একটি গ্রাম। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গহীন অরণ্যের কোল ঘেঁষে বাংলাদেশের বুকে নেমে এসেছে অপরূপ সুন্দর এক ঝরনাধারা।
ঝরনাটি প্রতিবেশী দেশ ভারতের মধ্যে পড়লেও পিয়াইন নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে খুব কাছ থেকে উপভোগ করা যায় ঝরনাটি। সীমান্তের কাছাকাছি না গিয়েও ঝরনাটির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
স্থানীয়রা ঝরনাটিকে ফাটাছড়ির ঝরনা বা বড়হিল ঝরনাও বলেন।
মেঘালয় রাজ্যের সারি সারি পাহাড়, ঝর্ণা, ঝর্ণা থেকে বয়ে আসা পানির স্রোতধারা, আর দিগন্ত বিস্তৃত চারণভূমি দেখা যায় এই গ্রামটি থেকে। পান্তুমাই গ্রামকে যদিও অনেকে ‘পাংথুমাই’ বলে ডাকে কিন্তু এর সঠিক উচ্চারণ “পান্তুমাই” ।

ছবি: উইকিপিডিয়া
ট্যুর প্ল্যান
‘বিছনাকান্দি–লক্ষ্মণছড়া-পাংতুমাই’ এই তিনটি জায়গা ঘুরিয়ে আনতে নৌকার খরচ পরবে ক্ষেত্র বিশেষে প্রায় ১,১০০-১,৫০০ টাকা। লক্ষ্মণছড়া মাঝি চিনে কিনা সেটা আগেই জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। তিনটি জায়গা মোটামোটি ভাবে ঘুরে হাদারপাড় ফিরে আসতে সময় লাগবে প্রায় ৫ ঘণ্টা।
তাই সিলেট থেকে আসার পথে গোয়াইনঘাট বাজারেই দুপুরের খাবার খেয়ে নিতে অথবা প্যাক করে নিতে পারেন। গোয়াইনঘাট থেকে যেতে হবে হাদারপাড়। গোয়াইনঘাট বাজার থেকে সিএনজি নিয়ে সহজেই হাদারপাড় যাওয়া যায়। ভাড়া নিবে জনপ্রতি ৪০ টাকা। কেউ যদি সিলেট শহরের আম্বরখানা থেকে সিএনজি নিয়ে সরাসরি হাদারপার চলে আসেন, তাহলে হাদারপাড়ের গনি মিয়ার ভূনা খিচুড়ি খেতে ভুলবেন না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: আপনি এক নৌকা ভাড়া করে পান্থুমাই, বিছানাকান্দি ও লক্ষ্মণছড়া ঘুরে আসবেন। এগুলো সব এক রুটে হওয়ার কারণে এক নৌকা দিয়ে এক দিনে কভার করা যায়।
পাংতুমাই কোথায় অবস্থিত?
গোয়াইনঘাটের দর্শনীয় স্থান পাংতুমাই জাফলং থেকে প্রায় ২০-২৫ কিমি দূরে। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ের নিচে, একেবারে সীমান্ত ঘেঁষা এই গ্রামটির অবস্থান।
কিভাবে পাংতুমাই যাওয়া যায়?
ঢাকা থেকে সিলেট গিয়ে আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সিএনজি ট্যাক্সি নিয়ে গোয়াইনঘাট বাজারে থানা সংলগ্ন বাজারে গিয়ে ট্যাক্সির সাহায্যে এখানে আসা যায়। পাংথুমাইয়ে যাওয়া যায় দুটি রাস্তায়। একটি হচ্ছে গোয়াইনঘাটের সালুটিকর হয়ে আর অন্যটি জৈন্তাপুরের সারিঘাট হয়ে।
যাতায়াতের মাধ্যম: বাস, মাইক্রোবাস, জীপ, সিএনজি ও ট্যাক্সি।
পাংতুমাই কখন যাবেন?
বর্ষাকালেই বেশী উপভোগ করা যায় পান্থুমাইয়র আসল সৌন্দর্জ্যটা। এই সময়ে পান্থুমাই ফুলে ফেপে উঠে পুরোদমে।
কোথায় থাকবেন?
পান্থুমাই গ্রামে থাকার তেমন কোন ভালো জায়গা নেই। সিলেট থেকে যেতে আসতে সময় না লাগার কারনে আপনাকে আর ওখানে থাকার চিন্তা করতে হবে না। সিলেট শহরে থাকার মত অনেকগুলো হোটেল আছে – আপনি আপনার প্রোয়োজন ও সামর্থ অনুযায়ী যে কোন ধরনের হোটেল পাবেন।
বেশ কিছু রিসোর্ট আছে তামাবিল এবং জৈন্তাপুরে দিকে। আপনার থাকার ব্যবস্থা যদি এইদিকে কোথাও হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে হাদারপাড় থেকে গোয়াইনঘাটে আসতে হবে।
কোথায় খাবেন?
খাওয়ার জন্য সিলেটের জিন্দাবাজারে বেশ ভালো তিনটি খাওয়ার হোটেল আছে। হোটেল গুলো হচ্ছে পাঁচ ভাই,পানশি ও পালকি। এগুলোতে প্রায় ২৯ প্রকারের ভর্তা আছে।
আশেপাশের আকর্ষণ