Site icon Tourism Gurukul [ পর্যটন গুরুকুল ] GOLN

রাতারগুল জলাবন

রাতারগুল জলাবন

সিলেট নগরী থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নের গুয়াইন নদীর দক্ষিণে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট রাতারগুল অবস্থিত। পানিসহিষ্ণু বড় গাছপালা একটা বনের রূপ নিলে তাকে ‘সোয়াম্প ফরেস্ট’ বা ‘জলাবন’ বলে। অনিন্দ্য সুন্দর বিশাল এ বন বছরে ৪-৭ মাস থাকে পানির নিচে। বর্ষাকালে হাওরের স্বচ্ছ পানির নিচে বনগুলো দৃশ্যমান থাকায় দেখা যায় প্রকৃতির অপূর্ব নৈসর্গিক এক রূপ।

 

দেশের একমাত্র স্বীকৃত সোয়াম্প ফরেস্ট সোয়াম্প ফরেস্ট’ বা ‘জলাবন’
ছবি: উইকিপিডিয়া

দেশের একমাত্র স্বীকৃত সোয়াম্প ফরেস্ট সোয়াম্প ফরেস্ট’ বা ‘জলাবন’

প্রকৃতির ব্যতিক্রমী সৃষ্টি রাতারগুল দেশের একমাত্র স্বীকৃত জলাবন বা সোয়াম্প ফরেস্ট। পানিতে অর্ধ নিমজ্জিত হিজল, করচ, বরুনা, বেত আর মুর্তার ঘন ঝোপে প্রায় দূর্ভেদ্য উপমহাদেশের এই একমাত্র মিঠা পানির সোয়াম ফরেস্ট। শীতল বাতাস, পাখির কলতান, নয়নাভিরাম দৃশ্য আর নৌকাযোগে নিঃশব্দে ঘুরে বেড়ানো- এ যেন এক স্বর্গ রাজ্য।
প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৫০-২০০ জন দেশি-বিদেশি পর্যটক এই সোয়াম ফরেস্টের সৌন্দর্য অবলোকন করে তাঁদের মনকে তৃপ্ত করে।

ওয়াচ টাওয়ার থেকে জলাবনের দৃশ্য
ছবি: উইকিপিডিয়া

রাতারগুল সোয়াম ফরেস্ট কোথায় অবস্থিত?

গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নে রাতারগুল সোয়াম ফরেস্ট আবস্থিত।

কিভাবে রাতারগুল যাওয়া যায়?

রাতারগুল সিলেট হতে সড়কপথে ৩৫ কিলোমিটার, গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর হতে ৩০ কিলোমিটার। সিলেট থেকে এই জলাবনে যাওয়ার একাধিক পথ আছে। সিলেট-জাফলংয়ের গাড়িতে উঠে নামতে হবে সারিঘাট। এখান থেকে টেম্পোতে করে গোয়াইনঘাট বাজার। সেখান থেকে রাতারগুল যাওয়া-আসার জন্য নৌকা রিজার্ভ করতে হবে। এই নৌকায় কিন্তু বনের ভেতরে ঢোকা যাবে না। বনে ঢুকতে হবে ডিঙি নৌকায় চেপে। আবার সিলেটের আম্বরখানা মোড় থেকে সিএনজি অটোরিকশায় মোটরঘাট। সেখানকার নৌঘাট থেকে নৌকা রিজার্ভ করে বনের যেতে হয়। তবে পথেই যান না কেন, বনে ঢোকার আগে অবশ্যই বন বিট অফিস থেকে অনুমতি নিতে হবে।
যাতায়াতের মাধ্যম: বাস, মাইক্রোবাস, জীপ, সিএনজি ও ট্যাক্সি।

থাকার ব্যবস্থা

এখানে রাতে থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই, তাই সিলেট শহর অথবা আম্বরখানা এলাকায় আবাসিক হোটেলে থাকতে হবে।

 

আশেপাশের আকর্ষণ

Exit mobile version