অধ্যাত্মিক পুরুষ হযরত শাহ সুলতান রুমী (রঃ)’র মাজার

হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমি (রঃ) এর মাজার; শাহ সুলতান রুমী (রঃ)'র মাজার

হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমি (রঃ) এর মাজার

হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রঃ) বাংলাদেশে খ্রিস্টাব্দে সনে ১২০ জন সফর সঙ্গীসহ ইসলাম প্রচারে আসেন। ঐতিহাসিকদের মতে এটিই ইসলাম প্রচারে আগত প্রথম মিশন। তিনি উপমহাদেশের বহু অঞ্চল অতিক্রম করে বাংলাদেশের কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, বগুড়া হয়ে পরিশেষে নেত্রকোণা থানার মদনপুরে আসেন। তখন বাংলায় চলছিল বৌদ্ধ ও সনাতন হিন্দুদের সংঘর্ষ। আবার হিন্দুদের বর্ণপ্রথাতেও ক্ষতবিক্ষত ছিল লোক সমাজ। এই জটিল মূহুর্তে ইসলামের সুফিবাদের বাণী আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয় গোটা সমাজকে। তাই তিনি উদার-উদাস প্রকৃতির বিচিত্র প্রাকৃতিক শোভার সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হন ইসলামের বাণী, শান্তির চেতনা। সে চেতনার সারমর্ম ছিল মানবপ্রেমের রসসিক্ত সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধ। এ কালজয়ী পুরুষের সমাধিস্থলে আজ জড়ো হয় লাখ লাখ মানুষ। ফলে এ মাজারটি পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের তথা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়। মাজারটির অবস্থান নেত্রকোণা-কেন্দুয়া সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে মদনপুর নামক গ্রামে।

হযরত শাহ সুলতান রুমী (র.)’ পরিচয়

পশ্চিম এশিয়ার সেলজুক রাজবংশের তুরস্ক সুলতানের সহোদর হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (র.) জাতিতে ছিলেন তুর্কি। উল্লেখ্য যে রোম (ইতালি) সাম্রাজ্য বিজয়ী তুরস্ক রাজ্যকেই অন্য নামে রোম সাম্রাজ্য বলা হতো এবং শাসকদের বলা হতো রুমি। সুলতানের কনিষ্ঠ ভ্রাতা হিসেবে তাকেও শাহ সুলতান উপাধিতে অভিহিত করা হয়।

অবস্থান

নেত্রকোণা সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ন

কিভাবে যাওয়া যায়

নেত্রকোণা সদর বাস টার্মিনাল থেকে বাস, হোন্ডা, অটোরিক্সা, রিক্সা করে মদনপুর ইউনিয়নে অবস্থিত এ ঐতিহাসিক স্থাপনাতে যাওয়া যায়

হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রঃ) বাংলাদেশে ১০৫৩ খ্রিস্টাব্দে ১২০ জন সফর সঙ্গীসহ ইসলাম প্রচারে আসেন। ঐতিহাসিকদের মতে এটিই ইসলাম প্রচারে আগত প্রথম মিশন। তিনি উপমহাদেশের বহু অঞ্চল অতিক্রম করে বাংলাদেশের কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, বগুড়া হয়ে পরিশেষে নেত্রকোণা থানার মদনপুরে আসেন। তখন বাংলায় চলছিল বৌদ্ধ ও সনাতন হিন্দুদের সংঘর্ষ। আবার হিন্দুদের বর্ণপ্রথাতেও ক্ষতবিক্ষত ছিল লোক সমাজ। এই জটিল মূহুর্তে ইসলামের সুফিবাদের বাণী আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয় গোটা সমাজকে। তাই তিনি উদার-উদাস প্রকৃতির বিচিত্র প্রাকৃতিক শোভার সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হন ইসলামের বাণী, শান্তির চেতনা। সে চেতনার সারমর্ম ছিল মানবপ্রেমের রসসিক্ত সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধ। এ কালজয়ী পুরুষের সমাধিস্থলে আজ জড়ো হয় লাখ লাখ মানুষ। ফলে এ মাজারটি পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের তথা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়। মাজারটির অবস্থান নেত্রকোণা-কেন্দুয়া সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে মদনপুর নামক গ্রামে।

 

তথ্যসূত্র:

Leave a Comment