খাগড়াছড়ি জেলার দর্শনীয় স্থান | খাগড়াছড়ি ভ্রমণ গাইড

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খাগড়াছড়ি জেলা বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য জেলার মধ্যে একটি। নদী, পাহাড়, ঝিরি, ছড়া ও সমতল ভূমি মিলে এটি একটি অপরূপ সৌন্দর্যমন্ডিত অঞ্চল।

স্থানীয় ভাবে খাগড়াছড়িকে চেংমি, ফালাং তাউং এবং মং সার্কেল নামেও ডাকা হয়। এখানে রয়েছে আকাশ-পাহাড়ের মিতালী, চেঙ্গী ও মাইনী উপত্যকার বিস্তীর্ণ সমতল ভূ-ভাগ ও উপজাতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্র্যতা। যেদিকেই চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আর রহস্যময়তায় ঘেরা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা প্রকৃতিপ্রেমী, অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় বা ভ্রমণবিলাসীদের জন্য আদর্শ স্থান। প্রকৃতির অনন্য সৌন্দর্য ছড়িয়ে আছে এ জেলার আনাচে-কানাচে। এ জেলার বৈচিত্র্যময় জীবনধারা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাইকে করে বিমোহিত।

প্রকৃতির অপরূপ নিদর্শন খাগড়াছড়ি জেলার দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে আলুটিলা গুহা ও ঝর্ণা, রিছাং ঝর্না, দেবতা পুকুর, মহালছড়ি হ্রদ, হর্টিকালচার পার্ক, তৈদুছড়া ঝর্ণা, মায়াবিনী লেক, পানছড়ি/শান্তিপুর অরণ্য কুটির, মানিকছড়ি মং রাজবাড়ি, বিডিআর স্মৃতিসৌধ, রামগড় লেক ও চা বাগান পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

 

Table of Contents

খাগড়াছড়ি জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ এবং ভ্রমণ গাইড

অরণ্য কুটির

খাগড়াছড়ি জেলার অন্যতম সৌন্দর্য-মন্ডিত এলাকা পানছড়ি উপজেলা। এই উপজেলায় শান্তিপুর নামক এক স্থানে ১৮০ একর জমির ওপর এটি অবস্থিত। বিশাল এলাকাজুড়ে অরণ্যে আবৃত বলেই হয়তো এর নামকরণ করা হয়েছে “অরণ্য কুটির”।

অবস্থান

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলা শহর থেকে সোজা দক্ষিণ দিকে প্রায় ৫/৬ কিলোমিটার দূরে শান্তিপুর নামক জনপদের অনতিদূরে এর অবস্থান।

কিভাবে যাওয়া যায়

খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কে সিএনজি/ইজি বাইক/মাহিন্দ্রযোগে খুব সহজেই যাওয়া যায়।

 

আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র

ঐশ্বর্যময় সৌন্দর্য্যের অহঙ্কার খাগড়াছড়ি শহরের প্রবেশ পথেই চোখে পড়বে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র। আলুটিলা বাংলাদেশের একটি অন্যতম ব্যতিক্রমধর্মী পর্যটন স্পট।

অবস্থান

খাগড়াছড়ি শহর থেকে ৮কিলোমিটার পশ্চিমে আলুটিলা পাহাড় চূড়ায় আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র।

কিভাবে যাওয়া যায়

পর্যটন কেন্দ্রটি খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্বে অবস্থিত হওয়ায় বাস, ট্যাক্সিযোগ যাতায়াত করা যায়।

 

আলুটিলার সুড়ঙ্গ বা রহস্যময় সুড়ঙ্গ

গা ছমছম করা অনুভূতি নিয়ে পাহাড়ী সুড়ঙ্গ পথ বেয়ে অন্ধকার পাতালে নেমে যাওয়া কল্পনার বিষয় হলেও আলুটিলার সুড়ঙ্গ পথ কল্পনার কিছু নয়। আলুটিলা কেন্দ্রের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে এর ‘রহস্যময় সুড়ঙ্গ’। স্থানীয় লোকের ভাষায় ‘‘মাতাই হাকর’’ যার বাংলা অর্থ দেবগুহা। এ পাহাড়ের চূড়া থেকে ২৬৬টি সিঁড়ির নীচে আলুটিলা পাহাড়ের পাদদেশে পাথর আর শিলা মাটির ভাঁজে গড়া এ রহস্যময় সুড়ঙ্গের অবস্থান। গুহামুখের ব্যাস প্রায় ১৮ফুট আর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮০ফুট। প্রবেশমুখ ও শেষের অংশ আলো-আঁধারিতে আচ্ছন্ন। মাঝখানে নিকষ কালো গাঢ় অন্ধকার এ গুহার তলদেশ দিয়ে প্রবাহমান শীতল জলের ঝর্ণাধারা।

অবস্থান

খাগড়াছড়ি শহর থেকে ৮কিলোমিটার পশ্চিমে আলুটিলা পাহাড় চূড়ায় আলুটিলা পর্যটন পার্কে এর অবস্থান।

কিভাবে যাওয়া যায়

পর্যটন কেন্দ্রটি খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্বে অবস্থিত হওয়ায় বাস, ট্যাক্সিযোগ যাতায়াত করা যায়।

 

কালচারাল গ্যালারি

আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশের রয়েছে সুপ্রাচীন ও ঐতিহ্যমন্ডিত সাংস্কৃতিক ইতিহাস। আমাদের এই ইতিহাসকে আরো বৈচিত্র্যপূর্ণ করেছেন আমাদের পাহাড়ের অধিবাসীরা। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সাথে আমাদের বাঙালির রয়েছে এক আত্মিক সম্পর্ক। হাজার বছরের কোটি কোটি মানুষের সেই ঐতিহ্য ও আত্মিক সম্পর্ককে ১১টি পাহাড়ি জনগোষ্ঠি এবং ১টি বাঙালির ছবির মাধ্যমে খাগড়াছড়ি সার্কিট হাউজে একটি গ্যালারিতে তুলে ধরা হয়েছে যা কালচার গ্যালারি।

অবস্থান

সার্কিট হাউজ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।

কিভাবে যাওয়া যায়

খাগড়াছড়ি শহরের যেকোন স্থান থেকে  থেকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সার্কিট হাউজ।

 

কালেক্টরেট গার্ডেন

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অব্যবহৃত পতিত জমিতে দৃষ্টিনন্দন কালেক্টরেট গার্ডেন নির্মাণ করা হয়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মিত এই গার্ডেন দেখতে ও অবসর সময় কাটাতে প্রতিদিন স্থানীয় ট্যুরিস্টদের আগমন ঘটে। দৃষ্টিনন্দন এই পার্ক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আগত সেবা গ্রহীতাদের অন্যতম বিশ্রাম ও বিনোদনস্থল হিসেবে পরিণত হয়েছে।

অবস্থান

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, খাগড়াছড়ি এর সম্মুখে অবস্থিত

কিভাবে যাওয়া যায়

খাগড়াছড়ি শহরের যেকোন স্থান থেকে  থেকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়।

 

কুঞ্জছায়া

খাগড়াছড়ি শহরের প্রবেশ পথেই চোখে পড়বে আলুটিলা পর্যটন পার্ক। আলুটিলার পর্যটন ভিউপয়েন্ট হলো কুঞ্জছায়া । মূলত এই ভিউ পয়েন্ট হতে পাখির চোখে খাগড়াছড়ি শহরকে দেখা যায়। রাতে এই ভিউপয়েন্ট থেকে শহরের অনন্য আলোকোজ্জ্বল নিসর্গচিত্র উপভোগ করা যায়।

অবস্থান

খাগড়াছড়ি শহর থেকে ৮কিলোমিটার পশ্চিমে আলুটিলা পাহাড়ের চূড়ায় আলুটিলা পর্যটন পার্ক।

কিভাবে যাওয়া যায়

পর্যটন কেন্দ্রটি খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্বে অবস্থিত হওয়ায় বাস, সিএনজি চালিত অটোযোগে যাতায়াত করা যায়।

 

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্ক

খাগড়াছড়ি জেলা শহরের জিরোমাইল এলাকায় ২২ একর পাহাড় জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে এই হর্টিকালচার হ্যারিটেজ পার্ক। এই পার্কে রয়েছে অসাধারণ সুন্দর একটি ঝুলন্ত ব্রিজ এবং বড় একটি লেক। হর্টিকালচার পার্ক এর ভিতরের পরিবেশ বেশ মনোরম। পার্কের পশ্চিম পাশ থেকে খাগড়াছড়ি শহরের ভিউটা অসাধারণ। এছাড়াও পার্কের ভিতরে রয়েছে দোলনা, ওয়াচ টাওয়ার, ফুলের বাগান ও বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছ।

অবস্থান

পাহাড়ী সৌন্দর্যের শহর খাগড়াছড়ি জেলার জিরো পয়েন্ট থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে নির্মিত সবুজ বেষ্টনীতে ঘেরা মনোরম সুন্দর পরিবেশে হর্টিকালচার হ্যারিটেজ পার্ক শহরের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত।

কিভাবে যাওয়া যায়

খাগড়াছড়ি শহর থেকে রিকসায় বা ইজি বাইকে সহজেই যাওয়া যায়।

 

খুমপুই রেস্টহাউজ

আলুটিলা পাহাড়ের চুড়ায় পর্যটকরা যাতে রাতে থাকতে পারে সেজন্য খাগড়াছড়ি জেলার প্রশাসন খুমপুই রেস্টহাউজ নির্মাণ করেন।

অবস্থান

খাগড়াছড়ি শহর থেকে ৮কিলোমিটার পশ্চিমে আলুটিলা পাহাড়ের চুড়ায় ট্রি হাউজ অবস্থিত।

কিভাবে যাওয়া যায়

পর্যটন কেন্দ্রটি খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্বে অবস্থিত হওয়ায় বাস, সিএনজি যোগে যাতায়াত করা যায়।

 

জেলা প্রশাসকের হাতি ফুলকলির সমাধি

খাগড়াছড়িতে পর্যটকদের কাছে অন্যতম দর্শনীয় স্থানের নাম জেলা প্রশাসকের হাতি ‘ফুলকলি’র সমাধি। জেলা শহরের প্রবেশমুখে স্থাপিত নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী ও ফুলকলির ইতিহাস জানতে প্রতিদিন শতশত পর্যটক ফুলকলির সমাধিতে ভিড় জমাচ্ছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি বাইরের পর্যটকদের কাছেও দিন দিন এর আকর্ষণ বাড়ছে।

অবস্থান

খাগড়াছড়ি জেলা শহরের প্রবেশমুখে স্থাপিত

কিভাবে যাওয়া যায়

জেলা সদরে অবস্থিত হওয়ায় সিএনজিযোগে যাতায়াত করা যায়।

 

ট্রি হাউজ

অবস্থান

জেলা প্রশাসনের লেডিস ক্লাবের পাশে অবস্থিত ট্রি হাউজ।

কিভাবে যাওয়া যায়

জেলা সদরে অবস্থিত হওয়ায় সিএনজিযোগে যাতায়াত করা যায়।

 

ডিসি পার্ক, মানিকছড়ি

সবুজ অরণ্য আর জলাশয় ঘেরা অনন্য সুন্দর পার্কটি মানিকছড়ি উপজেলায় অবস্থিত। ১৪০ একর জায়গার উপর অবস্থিত এই পার্কটির প্রবেশ মুখে রয়েছে একটি দৃষ্টি নন্দন গেট। তাছাড়া বিশাল এ পার্কটির যে দিকে নয়ন যাবে দৃষ্টি জুড়িয়ে আসবে অসংখ্য প্রজাতির সবুজের সমারোহে। উচু নীচু ভূমিসহ পার্কটির শোভা বৃদ্ধি করছে তিনটি দৃষ্টিনন্দন লেক।

অবস্থান

ডলু মৌজা, মানিকছড়ি উপজেলা

কিভাবে যাওয়া যায়

খাগড়াছড়ি হতে সরাসরি বাসযোগে/ সিএনজি যোগে মানিকছড়ি উপজেলা গিয়ে মানিকছড়ি বাসস্ট্যান্ড হতে সরাসরি বাস, সিএনজি যোগে ডিসি পার্কে যাওয়া যায়।

 

তৈদুছড়া ঝর্ণা

তৈদুছড়া ঝর্ণা বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় অবস্থিত। ত্রিপুরা ভাষায় তৈদু মানে হল পানির দরজা এবং ছড়া মানে ঝর্ণা। তৈদুছড়া ঝর্ণা ৩০০ ফুট উঁচু। পাহাড়ের গায়ে অসংখ্য পাথরের ধাপ আছে। এই ধাপ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে নিচে। এই প্রাকৃতিক বৈচিত্রতা তৈদুছড়া ঝর্ণাকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা।

অবস্থান

খাগড়াছড়ি থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে দীঘিনালা উপজেলার বুনো জঙ্গলের মাঝে আঁকাবাঁকা পাহাড়ের ভাঁজ দিয়ে বয়ে চলছে নয়নাভিরাম তৈদুছড়া ঝর্ণা।

কিভাবে যাওয়া যায়

খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা এবং সীমানা পাড়া এই দুই পথেই তৈদুছড়া যাওয়া যায়। সীমানা পাড়া দিয়ে গেলে সময় বাঁচবে ও ট্র্যাকিং কম করতে হয়।

যদি সীমানা পাড়া হয়ে তৈদুছড়া ঝর্ণা যেতে চান তবে খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা মোড় থেকে দীঘিনালাগামী বাস বা সিএনজি নিয়ে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে সীমানা পাড়া যাওয়ার রাস্তায় নামতে হবে। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে ৩ কিলোমিটার গেলে সীমানা পাড়া পৌঁছে যাবেন। তবে শাপলা মোড় থেকে চান্দের গাড়ী নিলে সরাসরি সীমানা পাড়া যেতে পারবেন। সীমানা পাড়া থেকে গাইড নিয়ে ট্র্যাকিং করে তৈদুছড়া ঝর্ণা ও থাংঝাং ঝর্ণায় যেতে হয়।

আর যদি দীঘিনালা থেকে যেতে চান তবে খাগড়াছড়ির শাপলা মোড় থেকে বাস বা আপনার সুবিধাজনক যানবাহনে দীঘিনালা চলে আসুন। তারপর সেখান থেকে গাড়ী বা মোটর সাইকেলে জামতলী যেতে হবে। জামতলীর পোমাংপাড়া থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা ট্র্যাকিং করে তৈদুছড়া ঝর্ণা পৌঁছাতে পারবেন। দীঘিনালা হতে তৈদুছড়া পর্যন্ত পায়ে হেঁটে যেতে ৪-৫ ঘণ্টা সময় লাগে।

 

দেবতা পুকুর

সমুদ্র সমতল হতে ৭০০ ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের চূড়ায় এই দেবতা পুকুর অবস্থিত। পাহাড়ের পাদদেশ ১ হাজার ৩৮৬টি সিঁড়ি বেয়ে দেবতা পুকুরে পৌঁছাতে হয়। সিঁড়ি বেয়ে প্রায় ২৫ মিনিটের পথ পেরুলেই দেখা মিলবে স্বপ্নের দেবতা পুকুর । কথিত আছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের জলতৃষ্ণা নিবারণের জন্য স্বয়ং জলদেবতা এ পুকুর খনন করেছেন। দেবতা পুকুরের পানি কখনোই শুকায়না। পুকুরের পানিকে স্থানীয় পাহাড়িরা দেবতার আর্শীবাদ বলে মনে করেন।

প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিতে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী ছাড়াও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাজারো নারী-পুরুষ-শিশু দেবতা পুকুর দর্শনে হাজির হয়

অবস্থান

খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি রোডে নুনছড়ি ত্রিপুরা নামক এক স্থানে খাগড়াছড়ি সদর হতে ১২ কিলোমিটার ও মাইসছড়ি হতে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

কিভাবে যাওয়া যায়

খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটির লোকাস বাস করে মাইসছড়ি পর্যন্ত যাওয়া যাবে বাকিটা পায়ে হেটে যাওয়া যাবে। চাদের গাড়ি, সিএনজি ভাড়া বা নিজস্ব গাড়ি করে নুনছড়ি পর্যন্ত যাওয়া যায়। পাহাড়ের চূড়ায় উঠার জন্য এক থেকে দেড় ঘণ্টা হাঁটতে হয়।

 

নন্দনকানন

খাগড়াছড়ি জেলার প্রধান পর্যটন আকর্ষণ আলুটিলা পর্যটন পার্ক। এই পার্কটিতে পূর্বে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক গুহা দেখার জন্য পর্যটক আসতো। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই পাহাড়টিকে আরো আকর্ষণীয় করতে বর্তমান জেলা প্রশাসন ‘নন্দনকানন’ নামীয় একটি গার্ডেন নির্মাণ করেছে।

অবস্থান

খাগড়াছড়ি শহর থেকে ৮কিলোমিটার পশ্চিমে আলুটিলা পাহাড় চূড়ায় আলুটিলা পর্যটন পার্কের ভিতরে এর অবস্থান।

কিভাবে যাওয়া যায়

পর্যটন কেন্দ্রটি খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্বে অবস্থিত হওয়ায় বাস, সিএনজি চালিত অটোযোগে যাতায়াত করা যায়।

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

বিজিবি স্মৃতিসৌধ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর গোড়াপত্তন হয় রামগড়ে। লেক পার্কের কাছেই ভারত সীমান্ত ঘেঁষে অবস্থিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবির জন্ম স্মৃতিসৌধ। মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে দৃষ্টিনন্দন এ স্মৃতিসৌধে লেখা রয়েছে ১৭৯৫ সালে রামগড়ে এ সীমান্তরক্ষীবাহিনীর গোড়াপত্তনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। রয়েছে পোড়ামাটির টেরাকোটায় এ বাহিনীর বিভিন্ন বিবর্তনের অবয়ব।

অবস্থান

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র জন্ম সম্পর্কিত ঐতিহাসিক স্থানটি রামগড় উপজেলা পরিষদের পাশে ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত।

কিভাবে যাওয়া যায়

রামগড় বাজার থেকে পায়ে হেঁটে আসা যায় অথবা অটো বা সিএনজিতে ২-৫ মিনিটে আসা যায়।

Leave a Comment