Site icon Tourism Gurukul [ পর্যটন গুরুকুল ] GOLN

চলন বিল

চলন বিল

রাজশাহী বিভাগের নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার বিস্তৃত অংশ জুড়ে দেশের সবচেয়ে বড় বিল ‘চলন বিল’। শুকনো মৌসুমে বিলের আয়তন অনেক কমে গেলেও তা প্রাণ ফিরে পায় বর্ষাকালে। চলন বিল মূলত অনেকগুলো ছোট ছোট বিলের সমষ্টি মাত্র। বর্ষায় এই বিলগুলোতে জলপ্রবাহ বেড়ে একসঙ্গে বিশাল এক বিলের সৃষ্টি করে। বর্ষায় চলন বিলের মাঝে প্রতিটি গ্রামকে মনে হবে এক একটি করে দ্বীপ। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর গ্রামে আছে চলন বিল জাদুঘর। চলন বিলে প্রাপ্ত নানান নিদর্শন, মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম ছাড়াও এখানে আছে অনেক দুর্লভ সংগ্রহ। চলন বিলে বেড়ানোর জন্য নৌকা ভাড়া পাওয়া যায়।

বিলসমূহ
আসলে চলন বিল অনেকগুলো ছোট ছোট বিলের সমষ্টি। চলন বিল গঠনকারী ছোট ছোট বিলগুলি পশ্চিম থেকে পূর্বে যথাক্রমে:

বড় আকারের বিলগুলির বেশিরভাগই পাবনা জেলায় অবস্থিত, যেমন- গজনা বিল, বড়বিল, সোনাপাতিলা বিল, ঘুঘুদহ, চিরল বিল এবং গুরকা বিল। গজনা বিল দুলাই-এর দক্ষিণে ১২৩ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে অবস্থিত। বড়বিলের আয়তন ৩১ বর্গ কিমি। প্রায় ৩৫ বর্গ কিমি আয়তনের সোনাপাতিলা বিল পাবনা জেলার উত্তরাংশ জুড়ে অবস্থিত। চাটমোহর উপজেলায় কুরলিয়া ও দিক্ষিবিল দুটি যথাক্রমে ১৮ ও ১৫ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে অবস্থিত। চিরল ও গুরকা বিল- উভয়েরই আয়তন ৮ বর্গ কিমি এবং ঘুঘুদহ ৪ বর্গ কিমি।

চলন বিল কোথায় অবস্থিত?

চলন বিল বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জলাভূমি অঞ্চল। নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা এই তিন জেলার নয়টি থানা মিলে চলন বিলের অবস্থান। নাটোরের নলডাঙ্গা, সিংড়া, গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম; সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া (আংশিক) ও নবগঠিত সলঙ্গা এবং পাবনা জেলার ভাঙ্গুরা ও চাটমোহর থানা এলাকাকে বর্তমানে চলন বিল অঞ্চল নামে অভিহিত করা হয়। চলন বিলের উত্তরে বগুড়া জেলাসীমা, দক্ষিণে পাবনা জেলার আটঘরিয়া ও ইশ্বরদী থানা, পূর্বে উল্লাপাড়া সিরাজগঞ্জ রেললাইন এবং পশ্চিমে নওগাঁ জেলার আত্রাই ও রানীনগর থানা। রানীনগর থানার পারিল ইউনিয়নের রক্তদহ বিল এককালে চলন বিলের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বর্তমানে এটি চলন বিলের উত্তর-পশ্চিম সীমা নির্দেশ করছে।

চলন বিল কখন যাবেন?

শুকনো মৌসুমে বিলের আয়তন অনেক কমে গেলেও তা প্রাণ ফিরে পায় বর্ষাকালে।

চলন বিল

কিভাবে চলন বিল যাওয়া যায়?

রাজশাহীগামী যে কোনো বাসেই নাটোর আসা সম্ভব। এখান থেকে স্থানীয় যানবাহনে দেখতে যেতে হবে চলন বিল। আর চলন বিল জাদুঘর দেখতে হলে নাটোর থেকে বাসে গুরুদাসপুর উপজেলায় এসে সেখান থেকে নন্দকুঞ্জা নদী পার হয়ে রিকশায় করে খুবজীপুর গ্রামে যেতে হবে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে বনপাড়া পর্যন্ত দীর্ঘ সড়ক তৈরি হয়েছে চলন বিলের ওপর দিয়েই। এ পথে চলতে চলতে চলন বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় দু’চোখ ভরে। সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলার বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে চলন বিলের অংশ বিশেষ। জেলা সদর রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলায় আসা যাবে লোকাল বাসে। আর পাবনার চাটমোহর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে চলন বিলের অংশের শুরু। এখানেই ‘চলনবিলীয়া’ নামে খ্যাত চাটমোহর-ছাইকোলা সড়কের দু’ধারে থৈ থৈ জলের নয়নাভিরাম দৃশ্য ও নৌকা ভ্রমণ, নৌকা বাইচ দেখার জন্য ভ্রমণ পিপাসীদের ভিড় জমে।
যাতায়াতের মাধ্যম: বাস, মাইক্রোবাস, জীপ, সিএনজি ও ট্যাক্সি।

 

কোথায় থাকবেন?

নাটোরের চলন বিল অংশ দেখতে গেলে থাকতে হবে নাটোর জেলা সদরে। এ শহরে থাকার জন্য সাধারণ মানের কিছু হোটেল আছে। সিরাজগঞ্জ থেকে চলন বিল দেখতে চাইল থাকতে হবে জেলা সদরে রায়গঞ্জ কিংবা তাড়াশ উপজেলার হোটেলে। আবার অনুরূপ পাবনা থেকে দেখতে চাইলেও জেলা সদরে কিংবা চাটমোহর উপজেলায় থাকতে হবে।

কোথায় খাবেন?

 

 

আশেপাশের দর্শনীয় স্থান

চলন বিল ভ্রমণ করেও নাটোরের আশেপাশে যে সকল স্থান দেখতে পারেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দর্শনীয় স্থান হলো:

আরও দেখুন:

Exit mobile version