চাঁদপুর জেলার দর্শনীয় স্থান

মেঘনা-ডাকাতিয়া আর ধনাগোদা নদীর জলধারায় বিধৌত দেশের অন্যতম প্রাচীন জনপদ চাঁদপুর। মেঘনা কন্যা চাঁদপুরকে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। কেউ বলেন, ‘রূপসী চাঁদপুর’, কেউ বলেন ‘ইলিশের দেশ চাঁদপুর’। আবার কেউ চাঁদ সওদাগরের সপ্তডিঙ্গা মধুকরের পালতোলা জাহাজের নোঙর খুঁজে বেড়ান চাঁদপুর জনপদে। চাঁদপুরের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে হাজার হাজার প্রত্নসম্পদ।

প্রাকৃতিক শোভায় সুশোভিত চাঁদপুরে রয়েছে বহু দৃষ্টিনন্দন স্থান। চাঁদপুর জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: মোলহেড বা তিন নদীর মোহনা, অঙ্গীকার স্মৃতিসৌধ, রক্তধারা স্মৃতিসৌধ, ইলিশ চত্বর, ডিসির বাংলো, রূপসা জমিদার বাড়ি, মঠখোলার মঠ, মেহের কালীবাড়ি, হযরত শাহ রাস্তি ও তাঁর দরগা, পঞ্চদশ শতকের পর্তুগীজ দুর্গ সাহেবগঞ্জ, ক্ষয়িষ্ণু ঐতিহ্য একটি মোগল গ্রাম অলিপুর ও দুটি মসজিদ-স্থাপত্য শৈলীর অনুপম নির্দশন, লোহাগড়া মঠ, হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ, মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র, পদ্মা-মেঘনার মিলনস্থল, শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দির, মনসামুড়া, সাহার পাড়ের দিঘি, উজানী বখতিয়ার খাঁ মসজিদ, নাটেশ্বর রায়ের দিঘি, কড়ইতলী জমিদার বাড়ি, সাহাপুর রাজবাড়ি, কাশিমপুর রাজবাড়ি, বোয়ালিয়া জমিদার বাড়ি ইত্যাদি।

চাঁদপুর; চাঁদপুর জেলা; চাঁদপুর জেলা ভ্রমণ গাইড, চাঁদপুর ভ্রমণ; চাঁদপুর জেলার দর্শনীয় স্থান; চাঁদপুরের দর্শনীয় স্থান; চাঁদপুর ভ্রমণ গাইড; চাঁদপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ এবং ভ্রমণ গাইড

চাঁদপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ এবং ভ্রমণ গাইড

অঙ্গীকার

অবস্থান

চাঁদপুর রেল স্টেশনের পাশেই মোলহেড অবস্থিত।

কিভাবে যাওয়া যায়

হাসান আলী প্রাইমারি স্কুলের সামনে, লেকের উপর অবস্থিত। চাঁদপুর জেলার প্রাণকেন্দ্র শপথ চত্বর মোড় থেকে রিক্সা, অটোরিক্সা, বা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়। শপথ চত্বর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ০.৫ কিলোমিটার এবং বাস স্ট্যান্ড থেকে ১.৫ কিলোমিটার।

 

অরুণ নন্দী সুইমিংপুল

অবস্থান

চাঁদপুর স্টেডিয়াম এর পাশে অবস্থিত। চাঁদপুর জেলার প্রাণকেন্দ্র শপথ চত্বর মোড় থেকে রিক্সা, অটোরিকশা, বা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়। শপথ চত্বর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ১ কিলোমিটার। এবং বাসস্ট্যাডের পাশে।চাঁদপুর স্টেডিয়াম এর পাশে অবস্থিত। চাঁদপুর জেলার প্রাণকেন্দ্র শপথ চত্বর মোড় থেকে রিক্সা, অটোরিকশা, বা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়। শপথ চত্বর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ১ কিলোমিটার। এবং বাস স্ট্যান্ড এর পাশে।

কিভাবে যাওয়া যায়

চাঁদপুর স্টেডিয়ামের পাশে অবস্থিত। চাঁদপুর জেলার প্রাণকেন্দ্র শপথ চত্বর মোড় থেকে রিক্সা, অটোরিকশা, বা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়। শপথ চত্বর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ১ কিলোমিটার। এবং বাস স্ট্যান্ডের পাশে।

ইলিশ চত্বর

অবস্থান

চাঁদপুর স্টেডিয়ামের মূল ফটকের বিপরীতে তিন রাস্তার মোড়ে গোলাকার বেদীর ওপর স্টিল স্ট্রাকচার নির্মিত দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যটিই ‘ইলিশ চত্বর’।

কিভাবে যাওয়া যায়

চাঁদপুর জেলার বাস স্ট্যান্ড এর পাশে এবং স্টেডিয়ামের সামনে অবস্থিত। শপথ চত্বর মোড় থেকে রিক্সা, অটোরিকশা, বা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়। শপথ চত্বর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ১ কিলোমিটার।

চাঁদপুর: মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড

অবস্থান

লোকেশন মোহনপুর, মতলব উত্তর, চাঁদপুর

কিভাবে যাওয়া যায়

ঢাকা থেকে সড়ক পথে: ঢাকা থেকে দাউদকান্দি স্টেশন অথবা গৌরীপুর স্টেশন সেখান থেকে বাস/ সিএনজি করে মতলবে, মতলব থেকে পর্যটন মাত্র ১৫/২০ মিনিটের দূরত্ব।
ঢাকা থেকে নদীপথে: সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে দুপুর ১ঃ ৩০ মিনিটে (গ্রিন- ওয়াটার ৭) লঞ্চে করে সোজা মোহনপুর পর্যটন এছাড়াও চাঁদপুরগামী যে-কোনো লঞ্চেই যাওয়া যাবে।

তাছাড়াও….
নারায়ণগঞ্জ থেকে পর্যটন: নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল হতে চাঁদপুরগামী যেকোনো লঞ্চেই উঠলেই মোহনপুর পর্যটনে নামিয়ে দিবে।
চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লা থেকে পর্যটন: চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা বিশ্বরোড থেকে (বেগদাত) বাসে করে বাবুর হাট, সেখান থেকে সিএনজি করে মতলব বাজারে নামলে যেকোনো পরিবহনে করেই যেতে পারবেন পর্যটনে।
এছাড়াও নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন, প্যাকিং নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই কেননা আমাদের রয়েছে প্যাকিং এর-ও সুব্যবস্থা।
মেঘনা নদীর তীরে মনোরম পরিবেশে আপনার পরিবার ও প্রিয়জনদের নিয়ে সময় কাটানোর একটি চমৎকার জায়গা। ঢাকার কাছেই যেখানে দেখতে পারবেন নদীর দৃশ্য। পাবেন মেঘনা নদীর প্রশান্তি।

চৌধুরী বাড়ি

অবস্থান

চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের ভূঁইয়ার হাট রাস্তার মাথায় হরিপুর বাজার চৌধুরী বাড়ি। চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়ন ভূঁইয়ার হাট রাস্তার মাথায় হরিপুর বাজার চৌধুরী বাড়ি।

কিভাবে যাওয়া যায়

চাঁদপুর সদর উপজেলা থেকে সিএনজি যোগে চান্দ্রা ইউনিয়ন ভূঁইয়ার হাট রাস্তার মাথায় যাবো বলে উঠতে হয়। সেখান থেকে রিক্সা যোগে হরিপুর বাজার চৌধুরী বাড়ির কথা বললে অনায়াসে ১০ মিনিটের মধ্যে যাওয়া যাবে।

ডিসির বাংলো

অবস্থান

চাঁদপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সামনে ও সদর হাসপাতালের পাশে।

কিভাবে যাওয়া যায়

চাঁদপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সামনে ও সদর হাসপাতালের পাশে। বাসস্ট্যান্ড থেকে রিক্সা, অটোরিকশা, বা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়। ইলিশ চত্বর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ১ কিলোমিটার।

নুনিয়া দত্তের বাড়ি পূজা মন্দির

অবস্থান

মন্দিরটি চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের একমাত্র শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির। অত্র মন্দিরটি এলাকার প্রাচীনতম মন্দির। এখানে দুর্গা পূজা ছাড়াও বিভিন্ন পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

কিভাবে যাওয়া যায়

শাহরাস্তি উপজেলাধীন চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রিকসায় করে নুনিয়া গ্রামের দত্তবাড়ি পূজা মন্দিরে যাওয়া যায়

মোলহেড : ত্রিনদীর সঙ্গমস্থল

অবস্থান

চাঁদপুর রেল স্টেশনের পাশেই মোলহেড অবস্থিত।

কিভাবে যাওয়া যায়

চাঁদপুর জেলার প্রাণকেন্দ্র শপথ চত্বর মোড় থেকে রিক্সা, অটোরিকশা, বা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়। শপথ চত্বর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ১/১.৫ কিলোমিটার।

 

রক্তধারা

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে চাঁদপুর শহরের পশ্চিম প্রান্তে মেঘনা ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় পুরাণবাজার এবং বড় স্টেশনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কয়েকটি নির্যাতন কেন্দ্র (টর্চার সেল) স্থাপন করে। নৌকা-লঞ্চ-স্টিমার ও রেলগাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহনে যারা চাঁদপুরে পৌঁছাতো, সন্দেহ হলে তাদেরকে এবং জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে
স্বাধীনতার পক্ষের লোকজন ও নারীদের এই টর্চার সেলে নিয়ে এসে অমানুষিক নির্যাতন করে হাত-পা বেঁধে জীবন্ত, অর্ধমৃত অথবা হত্যা করে মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর খর স্রোতে ফেলে দিত। হানাদার বাহিনীর এদেশীয় দোসররা এ হত্যাযজ্ঞে সহযোগিতা করতো।

অবস্থান

পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতার শিকার শহীদের স্মরণে ২০১১ সালে মোলহেডের সন্নিকটে নির্মিত হয় স্মৃতিসৌধ ‘রক্তধারা’।

কিভাবে যাওয়া যায়

চাঁদপুর জেলার প্রাণকেন্দ্র শপথ চত্বর মোড় থেকে রিক্সা, অটোরিকশা, বা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়। শপথ চত্বর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ১/১.৫ কিলোমিটার। বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার।

শপথ চত্বর

অবস্থান

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ও সংগ্রামের পটভূমিকে সমুন্নত রাখতে চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যটি শপথ চত্বর নামে অভিহিত। এ ভাস্কর্যে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ও চাঁদপুরের ঐতিহ্য রুপালি ইলিশের বিমূর্ত প্রতীক স্থান পেয়েছে। চাঁদপুর পৌরসভার অর্থায়নে প্রখ্যাত ভাস্কর স্বপন আচার্য এটি নির্মাণ করেন।

কিভাবে যাওয়া যায়

চাঁদপুর জেলার পাঁচ রাস্তার মোড় কালী বাড়িতে অবস্থিত। বাসস্ট্যান্ড থেকে রিক্সা, অটোরিকশা, বা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়। ইলিশ চত্বর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ১ কিলোমিটার।

 

হযরত রাস্তি শাহ (রঃ)-এর মাজার ও দিঘি

অবস্থান

শাহরাস্তি বাজার এর উত্তর মাথায় শাহরাস্তি(রঃ) এর নামে স্থাপিত শাহরাস্তি মসজিদ ও মাদ্রাসা

কিভাবে যাওয়া যায়

চাঁদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস অথবা সিএনজি করে শাহরাস্তি গেইটে নেমে সিএনজি দিয়ে উপজেলা পরিষদ।শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ হতে রিক্সা অথবা সিএনজি করে শাহরাস্তি বাজার যেতে হবে। শাহরাস্তি বাজার এর উত্তর মাথায় শাহরাস্তি(রঃ) এর নামে স্থাপিত শাহরাস্তি মসজিদ ও মাদ্রাসা।

 

 

Leave a Comment