Site icon Tourism Gurukul [ পর্যটন গুরুকুল ] GOLN

রাঙ্গামাটি জেলার দর্শনীয় স্থান

রাঙ্গামাটি জেলার দর্শনীয় স্থান

রাঙ্গামাটি বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা গুলোর মধ্যে একটি এবং আয়তনে বাংলাদেশের বৃহত্তম জেলা। বর্তমানে এখানকার প্রাকৃতিক রূপ-বৈচিত্র্যে খ্যাতি পেয়েছে ‘রূপের রানী’ হিসেবে। পাহাড়, নদী ও লেকবেষ্টিত একটি বৈচিত্রময় জনপদ যেখানে চাকমা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, বম, চাক, মুরং, ত্রিপুরা, খেয়াং, খুমি, লুসাই, ম্রো, পাংখোয়া, সাঁওতাল, মণিপুরী, অসমীয়া ও গুর্খা এবং সর্বোপরি বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা, সাংস্কৃতিক, নৃতাত্ত্বিক কৃষ্টি নিয়ে বসোবাস করে। প্রকৃতির অপার সৃষ্টি এই জেলা বাংলাদেশের পর্যটনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান। পাহাড়ের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা সবুজ রূপ বৈচিত্রের শ্যামলভূমি রাঙামাটি জেলার দর্শনীয় স্থান গুলো দেশী-বিদেশী পর্যটকদের দোলা প্রতিটি মুহূর্তে, যার টানে পর্যটকরা আবারও ফিরে আসে প্রাকৃতিক নৈসর্ঘের লীলাভূমি এ রাঙামাটি জেলায়।

এই জেলার নাম করণের দিক থেকেও রয়েছে বেশ কিছু ভিন্ন মত। অনেকের মতে এখানে অবস্থিত হৃদের পানি প্রবাহের সময় লাল রং দেখায় বলে এই জেলার নাম রাখা হয়েছে রাঙ্গামাটি। আবার কেউ কেউ মনে করেন এ জেলার মাটির রং লাল বলে এই জেলার নামকরণ হয়েছে রাঙ্গামাটি। প্রাচীনকালে এ জেলায় প্রচুর পরিমান কার্পাস তুলা পাওয়া যেতো, যার নামানুসারে কার্পাসমহলই ছিল এ জেলার প্রাচীন নাম।

রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ হলো: কাপ্তাই হ্রদ, ঝুলন্ত সেতু, রাজবন বিহার, শুভলং ঝর্ণা, সাজেক ভ্যালী, নৌ বাহিনীর পিকনিক স্পট, কাপ্তাই বাঁধ ও কর্ণফুলি পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্সনায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি ভাস্কর্য, উপজাতীয় জাদুঘর, কর্ণফুলি কাগজ কল, বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র, প্যানোরমা জুম রেস্তোরা, পেদা টিং টিং রেস্তোরা, টুকটুক ইকো ভিলেজ, চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার, বনশ্রী পর্যটন কমপ্লেক্স, ডলুছড়ি জেতবন বিহার ইত্যাদি।

Table of Contents

Toggle

রাঙ্গামাটি জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ এবং ভ্রমণ গাইড

আর্যপুর ধর্মোজ্জল বনবিহার

অবস্থান

আর্যপুর, বাঘাইছড়ি, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

কিভাবে যাওয়া যায়

রাঙ্গামাটি থেকে নৌপথে লঞ্চযোগে অথবা সড়কপথে বাঘাইছড়ি যাওয়া যায়। রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল ৭.৩০ থেকে ১০.৩০ ঘটিকার মধ্যে লঞ্চ ছাড়ে। ভাড়া জনপ্রতি ১৪০-২০০ টাকা। সময় লাগে ৫-৬ ঘন্টা। বাস টার্মিনাল থেকে সকাল ৭.৩০ থেকে ৮.৩০ ঘটিকার মধ্যে বাস ছাড়ে, ভাড়া জনপ্রতি ২০০ টাকা। সময় লাগে ৬-৭ ঘন্টা।

চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি বাঘাইছড়ি যাওয়া যায় অথবা খাগড়াছড়ি হয়েও যাওয়া সম্ভব।

ঢাকা থেকেও সরাসরি বাঘাইছড়ি যাওয়া যায়। বাঘাইছড়ি থেকে মোটর সাইকেল অথবা সিএনজি করে এই বনবিহারে পৌঁছানো যায়।

 

উপজাতীয় টেক্সটাইল মার্কেট

অবস্থান

তবলছড়ি, রাঙ্গামাটি সদর, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

কিভাবে যাওয়া যায়

শহরের যে কোন স্থান থেকে অত্যন্ত সহজেই এখানে যাওয়া যায়। অটোরিকশা বা প্রাইভেট গাড়ি ইত্যাদি যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া পড়বে।

 

উপজাতীয় যাদুঘর

অবস্থান

রাঙ্গামাটি সদর

কিভাবে যাওয়া যায়

যাদুঘরটি সকলের জন্য উম্মুক্ত। শহরের যে কোন স্থান থেকে অত্যন্ত সহজেই এখানে যাওয়া যায়। অটোরিকশা বা প্রাইভেট গাড়ি ইত্যাদি যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া পড়বে।

 

চাকমা রাজার রাজবাড়ি

অবস্থান

রাঙ্গামাটি সদর, রাঙ্গামাটি পাবর্ত্য জেলা।

কিভাবে যাওয়া যায়

অটোরিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িযোগে কে.কে.রায় সড়ক হয়ে হ্রদের এই পাশে যেতে হবে। অতঃপর নৌকাযোগে হ্রদ পার হয়ে রাজবাড়িতে যাওয়া যাবে।

কাপ্তাই হ্রদের মাধ্যমে নৌপথেও এ স্থানে আসা যায়।

 

ওয়াগ্গা চা এস্টেট

অবস্থান

ওয়াগ্গাছড়া, কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

কিভাবে যাওয়া যায়

রাঙ্গামাটি থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘণ্টা) বাস/মাইক্রো/অটোরিক্স/ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে যাওয়া যায়।

চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট হতেও বাসযোগে কাপ্তাই যাওয়া যায়। কাপ্তাই উপজেলার বড়ইছড়ি নামক স্থানে নামতে হবে। এখানে নেমে ওয়াগ্গাছড়া চা এস্টেট এর নৌকাযোগে কর্ণফুলী নদী পার হয়ে ওয়োগ্গাছড়া চা বাগান যেতে হবে।

 

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র

অবস্থান

চন্দ্রঘোনা, কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

কিভাবে যাওয়া যায়

রাঙ্গামাটি থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘণ্টা)। বাস, মাইক্রো, অটোরিকশা, ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে যাওয়া যায়।

চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট হতেও বাস/মাইক্রোযোগে কাপ্তাই/চন্দ্রঘোনা যাওয়া যায়। কাপ্তাই বিপিডিবি রিসিপশন গেইট হতে অনুমতি নিয়ে স্পিওয়ে দেখতে যেতে হবে।

 

কর্ণফুলী পেপার মিলস্ লিমিটেড

অবস্থান

চন্দ্রঘোনা, কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

কিভাবে যাওয়া যায়

রাঙ্গামাটি থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘণ্টা)। বাস, মাইক্রো, অটোরিকশা, ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে যাওয়া যায়।

চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট হতেও বাস/মাইক্রোযোগে কাপ্তাই/চন্দ্রঘোনা যাওয়া যায়। চন্দ্রঘোনা পেপার মিল ১নং গেটে যেতে হবে।

 

কাট্টলী বিল

অবস্থান

কাট্টলী বিল, লংগদু, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

কিভাবে যাওয়া যায়

রাঙ্গামাটি থেকে নৌপথে লংগদু যাওয়ার পথে কাট্টলরি বিল পাওয়া যায়। রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল ৭.৩০ থেকে ১০.৩০ ঘটিকার মধ্যে লঞ্চ ছাড়ে। ভাড়া জনপ্রতি ৯০-১৫০ টাকা। সময় লাগে ৩-৪ ঘণ্টা।

লংগদু সদর হতেও নৌকাযোগে কাট্টলীর বিলে পৌঁছানো যায়।

 

কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান

অবস্থান

কাপ্তাই উপজেলা

কিভাবে যাওয়া যায়

রাঙ্গামাটি থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘণ্টা) বাস, মাইক্রো, অটোরিকশা, ইঞ্জিন চালিত বোটযোগে যাওয়া যায়।

চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট হতেও বাস/মাইক্রো বাসযোগে কাপ্তাই যাওয়া যায়। কাপ্তাই নতুন বাজার যাওয়ার আগে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান গেটে নামতে হবে।

 

কাপ্তাই লেক

অবস্থান

কাপ্তাই উপজেলা

কিভাবে যাওয়া যায়

নৌ-ভ্রমণের জন্য রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি ও পর্যটন ঘাটে ভাড়ায় স্পীড বোট ও নৌযান পাওয়া যায়। যার ভাড়ার পরিমাণ ঘণ্টা প্রতি স্পীড বোট ঘণ্টায় ১২০০-১৫০০/- এবং দেশীয় নৌযান ৫০০-৮০০/- টাকা।

 

চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার

অবস্থান

কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

কিভাবে যাওয়া যায়

রাঙ্গামাটি থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘণ্টা)। বাস, মাইক্রো, অটোরিকশা, ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল হতে বাস অথবা চট্টগ্রামস্থ কাপ্তাই রাস্তার মাথা হতে সিএনজি যোগে কাপ্তাই চিৎমরম কিয়াং ঘাটে নামতে হবে। কিয়াং ঘাট নেমে নৌকাযোগে কর্ণফুলী নদী পার হয়ে কোয়ার্টার কিলোমিটার গেলেই চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার চোখে পড়বে।

 

জেলা প্রশাসকের বাংলো / রাঙামাটি ডিসি বাংলো

অবস্থান

রাঙ্গামাটি সদর, রাঙ্গামাটি পাবর্ত্য জেলা।

কিভাবে যাওয়া যায়

শহরের যে কোন জায়গা হতে অটোরিকশা বা প্রাইভেট গাড়ি বা নৌপথে রাঙ্গামাটি ডিসি বাংলোতে যাওয়া যাবে।

 

ঝুলন্ত ব্রিজ

অবস্থান

তবলছড়ি ডিয়ার পার্ক, তবলছড়ি, রাঙ্গামাটি।

কিভাবে যাওয়া যায়

রাঙ্গামাটি শহরের তবলছড়ি হয়ে সড়ক পথে সরাসরি ‘পর্যটন কমপ্লেক্সে’ যাওয়া যায়। এখানে গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা রয়েছে। যারা ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে সার্ভিস বাসে করে আসবেন তাদের তবলছড়িতে নেমে অটোরিক্সাযোগে রিজার্ভ করে (ভাড়ার পরিমাণ আনুমানিক ৮০-১০০/-) যেতে হবে।

 

টুকটুক ইকো ভিলেজ

অবস্থান

জেলা সদরের বালুখালী ইউনিয়নের কিল্ল্যামুড়া এলাকা

কিভাবে যাওয়া যায়

রাঙামাটি শহর থেকে টুক টুক ইকো ভিলেজে যাওয়ার জন্য শহরের রিজার্ভ বাজারের শহীদ মিনার এলাকা থেকে রয়েছে নিজস্ব বোটের ব্যবস্থা। জনপ্রতি ভাড়া ২০ টাকা।

 

ডলুছড়ি জেতবন বিহার

অবস্থান

জেতবন, লংগদু, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

কিভাবে যাওয়া যায়

রাঙ্গামাটি থেকে নৌপথে লঞ্চযোগে লংগদু যাওয়া যায়। রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল ৭.৩০ থেকে ১০.৩০ ঘটিকার মধ্যে লঞ্চ ছাড়ে। ভাড়া জনপ্রতি ৯০-১৫০ টাকা। সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। লংগদু সদর হতে মোটর সাইকেল যোগে এই বিহারে পৌঁছানো যায়। ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা।

 

তিনটিলা বনবিহার

অবস্থান

লংগদু, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

কিভাবে যাওয়া যায়

রাঙ্গামাটি থেকে নৌপথে লঞ্চযোগে লংগদু যাওয়া যায়। রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল ৭.৩০ থেকে ১০.৩০ ঘটিকার মধ্যে লঞ্চ ছাড়ে। ভাড়া জনপ্রতি ৯০-১৫০ টাকা। সময় লাগে ৩-৪ ঘণ্টা। লংগদু সদর হতে মোটর সাইকেলযোগে অথবা পায়ে হেঁটে এই বিহারে পৌঁছানো যায়।

 

ন-কাবা ছড়া ঝর্ণা

অবস্থান

ন-কাবা ছড়া, বিলাইছড়ি, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

কিভাবে যাওয়া যায়

ঢাকা থেকে শ্যামলী, মডার্ণ ও এস আলম বাসে করে কাপ্তাই এসে কাপ্তাই জেটিঘাটস্থ লঞ্চঘাট থেকে ইঞ্জিনবোটে করে বিলাইছড়ি আসবেন। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে ৩/৪ ঘণ্টার মধ্যে বিলাইছড়ি আসা যায়। কেউ চট্টগ্রাম থেকে বিলাইছড়ি আসলে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে প্রথমত কাপ্তাই জেটিঘাটে আসবেন। প্রতিদিন সাড়ে ৭ টায় রাঙ্গামাটির তবলছড়ি ঘাট থেকে ইঞ্জিনবোট যাত্রী নিয়ে সকাল ১০টার মধ্যে বিলাইছড়ি পৌঁছে। ওই বোটটি আবার বিলাইছড়ি থেকে দুপুর ২টার মধ্যে রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে ছাড়ে। বিলাইছড়ি সদরস্থ লঞ্চঘাট নতুবা নলছড়ি নামক স্থান থেকে ইঞ্জিনবোটে করে বিলাইছড়ি ডেবারা মাথায় এসে ওখান থেকে ন-কাবা ছড়া ঝর্ণায় যেতে হবে।

 

নৌ বাহিনীর পিকনিক স্পট

অবস্থান

কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

কিভাবে যাওয়া যায়

রাঙ্গামাটি থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘণ্টা)। বাস, মাইক্রো, অটোরিকশা, ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট হতেও বাস বা অটোরিকশা বা অন্য কোন পরিবহনযোগে কাপ্তাই নৌ বাহিনীর বা নৌ জা শহীদ মোয়াজ্জেম পিকনিক স্পটে যাওয়া যায়।

 

পেদা টিং টিং

অবস্থান

কাপ্তাই হ্রদ

কিভাবে যাওয়া যায়

রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার, পর্যটন ঘাট ও রাঙ্গামাটি বিভিন্ন স্থান থেকে স্পিড বোট ও নৌ-যানে করে সহজেই যাওয়া যায়।

 

ফুরমোন পাহাড়

অবস্থান

রাঙ্গামাটি সদর, রাঙ্গামাটি পাবর্ত্য জেলা।

কিভাবে যাওয়া যায়

শহর থেকে অটোরিকশা কিংবা অন্য কোন মটরগাড়ি যোগে পাহাড়ের পদস্থলে যাওয়া যাবে। পরে হেটে পাহাড়ে উঠতে হবে।

 

রাঙ্গামাটি যাওয়ার উপায়

ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি

ঢাকার ফকিরাপুল মোড় /সায়দাবাদ জনপদের মাথায় রাঙ্গামাটি গামী অসংখ্য বাস কাউন্টারের অবস্থান। সকল বাসই সকাল ৮.০০ হতে ৯.০০ টা এবং রাত ৮.৩০ হতে ১১.০০ এর মধ্যে ঢাকা ছাড়ে।
ভাড়া: ঢাকা-রাঙ্গামাটি: এসি ৯০০ টাকা (শ্যামলী), বিআরটিসি এসি ৭০০ টাকা, নন এসি সকল বাস- ৬২০ টাকা।

চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটি

চট্রগ্রামের অক্সিজেন এলাকার রাঙামাটির বাস টার্মিনাল যেতে হবে। এখান থেকে আধ ঘন্টার ব্যবধানে আপনি পাবেন পাহাড়ীকা ও লোকাল বাস সার্ভিস। পাহাড়ীকা বাসের ভাড়া ১১০ টাকা এবং লোকাল বাসের ভাড়া ৮৫টাকা। পাহাড়ীকা বাসে সময় লাগে আড়াই ঘন্টা এবং লোকাল বাসে ৩-সাড়ে ৩ ঘন্টা। সকাল ৭টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত পাওয়া যায় বাস।

এছাড়া যারা আরামদায়ক ভ্রমন করতে চান, তাদের জন্য আছে বিলাস বহুল সার্ভিস এস. আলম, ইউনিক, হানিফ ও বিআরটিসি। এসব বাস সার্ভিসের ভাড়া ১০০-১২০টাকা। সময় লাগবে ২.৩০-৩ ঘন্টা।

এছাড়া নিজস্ব গাড়ী অথবা ভাড়া করা মাইক্রো, কার, ক্যাব নিয়েও আপনি যেতে পারবেন রাঙামাটি।

 

রাঙ্গামাটির কোথায় থাকবেন

রাঙামাটিতে পর্যটকদের থাকার জন্য বেশ কিছু ভালমানের হোটেল আছে যেমন, তেমনি আছে মাঝারি মানের হোটেলও।
ভালোমানের হোটেলের মধ্যে হোটেল সুফিয়া, নীডস হিল ভিউ, মোটেল জর্জ, হোটেল গ্রীন ক্যাসেল, শাইনিং হিল গেষ্ট হাউজ, টুকটুক ইকো ভিলেজ, হোটেল আনিকা অন্যতম। ভাড়া ৫০০টাকা হতে ২০০০টাকা পর্যন্ত।

কমদামী হোটেলগুলোর মধ্যে আছে মধুমিতা, সৈকত, শাপলা, ডিগনিটি, সমতা, উল্লেখযোগ্য। এগুলো ভাড়া সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত।

এছাড়া পর্যটনের রয়েছে নিজস্ব মোটেল। ভাড়া ১২০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত। রয়েছে ছোট ছোট কটেজ। কটেজগুলোর প্রতি রাতের ভাড়া ৩০০০-৫০০০ টাকা। সরকারি বিভিন্ন দফতরের রেষ্ট হাউস, গেষ্ট হাউস এবং বাংলোগুলো নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ এবং অনুমতি সাপেক্ষে ভাড়া দেওয়া হয়।

Exit mobile version