Site icon Tourism Gurukul [ পর্যটন গুরুকুল ] GOLN

লালমনিরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান

লালমনিরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান

কাকিনা জমিদারী বংশ ও জমিদার বাড়ী

অবস্থান

কাকিনা বাস স্ট্যান্ড হতে ২০০ গজ পশ্চিমে। কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

কিভাবে যাওয়া যায়

সড়ক পথ/রেলপথ ঢাকা হতে ৩৬৮ কিঃমিঃ। ঢাকা থেকে ঢাকা-লালমনিরহাট জাতীয় মহাসড়ক পথে লালমনিরহাট হয়ে পুনরায় লালমনিরহাট হতে বুড়িমারী (পাটগ্রাম উপজেলা) স্থল বন্দরগামী রাস্তায় মহাসড়ক পথে (লালমনরিহাট হতে প্রায় ২১কিঃমিঃ) কাকিনা বাজার বাসস্ট্যান্ড। বাসস্ট্যান্ড হতে ২০০ গজ পশ্চিমে জমিদার বাড়ির ভগ্নাবশেষ অবস্থিত। লালমনিরহাট থেকে লালমনিরহাট- বুড়িমারি মহাসড়ক পথে প্রায় ২১ কিঃমিঃ দূরে জমিদারবাড়ি অবস্থিত। রংপুর হতে লালমনিরহাট হয়ে বুড়িমারি স্থল বন্দরের রাস্তায় ৬৬ কি মি দূরে জমিদারবাড়ি অবস্থিত। রেলপথ রেলপথঃ লালমনিরহাট হতে বুড়িমারি রেলপথে কাকিনা রেল স্টেশন নেমে প্রায় ২ কি মি দক্ষিণ দিকে জমিদারবাড়ি অবস্থিত।

 

তিন বিঘা করিডোর ও দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহল

অবস্থান

পাটগ্রাম উপজেলার কুচলিবাড়ী ইউনিয়ন ও দহগ্রাম-আংগরপোতা ছিটমহলের মাঝখানে।

কিভাবে যাওয়া যায়

লালমনিরহাট জেলা সদর থেকে বাস/ ট্রেন যোগে পাটগ্রাম উপজেলা হয়ে তিন বিঘা করিডোর যাওয়া যায়।

 

 

তিস্তা ব্যারেজ ও অবসর রেস্ট হাউজ

অবস্থান

বাংলাদেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্পের তিস্তা ব্যারেজ লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলাধীন গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী এবং পার্শ্ববর্তী নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলাধীন খালিসা চাপানী ইউনিয়নের ডালিয়া- এর মধ্যবর্তী স্থানে তিস্তা নদীর উপর নির্মিত। ব্যারেজের পাশেই মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে অবসর রেস্ট হাউজ অবস্থিত।

কিভাবে যাওয়া যায়

লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা থেকে অটোরিক্সা/ মটরসাইকেল/ মাইক্রোবাস/ কার যোগে যাওয়া যায়।

 

তুষভান্ডার জমিদারী বংশ ও জমিদার বাড়ী

অবস্থান

তুষভান্ডার বাস স্ট্যান্ড হতে ২০০ গজ উত্তরে। কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

 

কিভাবে যাওয়া যায়

ঢাকা থেকে বাস/রেল পথে যোগে লালমনিরহাট হয়ে তুষভান্ডার যেতে হবে। দূরত্ব প্রায় ৩৭২ কি মি.। লালমনিরহাট শহর হতে প্রায় ৩১ কি মি দূরে তুষভান্ডার জমিদারবাড়ি অবস্থিত।

 

নিদাড়িয়া মসজিদ

অবস্থান

লালমনিরহাট সদর উপজেলাধীন কিশামত নগরবন্দ মৌজায় অবস্থিত। এর অবস্থান রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক হতে ২ কিমি দক্ষিনে।

কিভাবে যাওয়া যায়

লালমরনরহাট সদর হতে অটোরিক্সা/ বাসে/ মোটর সাইকেল যাতায়াত করা যায়।

 

বুড়িমারী স্থলবন্দর

অবস্থান

জেলাঃ লালমনিরহাট,উপজেলাঃ পাটগ্রাম,ইউনিয়নঃ ৮ নং বুড়িমারী

কিভাবে যাওয়া যায়

রাজধারী ঢাকা থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দর ৪৫৭ কিলোমিটার। সড়ক পথে বুড়িমারী স্থলবন্দর আসা যায় এছাড়া ঢাকা থেকে রেলপথ এর মাধ্যমে বুড়িমারী স্থলবন্দরে আসা যায়।

 

হারানো মসজিদ

অবস্থান

রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের ১ কিমি দক্ষিনে লালমনিরহাট উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় এ প্রাচীন মসজিদটি অবস্থিত।

 

কিভাবে যাওয়া যায়

লালমরনরহাট সদর হতে অটোরিক্সা/ বাসে/ মোটর সাইকেল যাতায়াত করা যায়।

 

 

তুষভান্ডার জমিদার বাড়ি

 

সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

তুষভান্ডার জমিদার বাড়ী কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের উত্তর ঘনেশ্যাম মৌজায় অবস্থিত।তৎকালে ধর্মীয় কার্যাদির জন্য উপঞ্চৌকি ব্যবস্থায় ভূমি দান করা হতো। মুরারি দেব ঘোষাল ভট্রাচার্য ব্রাহ্মন হওয়ায় শূদ্র রাজার দান ভোগে আপত্তি উত্থাপন করেন এবং প্রদত্ত সম্পত্তির জন্য খাজনা গ্রহণের আবেদন জানান। মহারাণী অবশেষে খাজনা স্বরূপ ধানের তুষ গ্রহণে সম্মত হন। খাজনা স্বরূপ প্রদানের জন্য তুষ সংগ্রহ করে বর্তমানে জমিদার বাড়ীর পূর্ব পাশে অনতিদূরে স্তুপাকারে রাখা হতো এবং পরে তা কোচবিহার রাজবাড়ীতে প্রেরণ করা হতো। এ তুষ দিয়ে রাজবাড়ীতে বিভিন্ন ধরণের যজ্ঞানুষ্ঠান সম্পাদন করা হতো। জনশ্রুতি মতে, সংগৃহীত তুষের স্তুপের কারণে তৎকালে স্থানটি তুষভান্ডার (তুষের ভান্ডার) হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল।

 

কাকিনা জমিদার বাড়ি

 

অবস্থান

লালমনিরহাট জেলা সদর হতে ৩০ কিমি দুরত্বে কালীগঞ্জ উপজেলাধীন কাকিনা ইউনিয়নের কাকিনা মৌজায় এ জমিদার বাড়িটি অবস্থিত।

সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

মহারাজা মোদ নারায়নের সময় কাকিনা ছিল কোচবিহার রাজ্যাধীন একটি চাকলা। তৎকালে কাকিনার চাকলাদার ছিলেন ইন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তী। ১৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দে ঘোড়াঘাটের ফৌজদার এবাদত খাঁ মহারাজা মোদ নারায়ণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে কোচ রাজ্যে অভিযান চালানোর সময় রঘু রামের দু’পুত্র রাঘবেন্দ্র নারায়ণ ও রাম নারায়ণ ফৌজদারের পক্ষ অবলম্বন করেন। মোগলদের এ অভিযানে কোচ বাহিনী পরাজিত হলে ইন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তীকে কাকিনার চাকলাদার পদ থেকে অপাসারণ করা হয় এবং রাঘবেন্দ্র নারায়ণকে পরগনা বাষট্রি ও রাম নারায়ণকে পরগনা কাকিনার চৌধুরী নিযুক্ত করা হয়। এভাবেই ইন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তীর চাকলাদারী শেষ হয়ে কাকিনায় রাম নারায়ণের মাধ্যমে নতুন জমিদারীর সূচনা ঘটে। ১৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দে রাম নারায়ণ কাকিনা পরগনার চৌধুরী নিযুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে কাকিনায় যে জমিদারীর সূচনা ঘটেছিল, জমিদার মহেন্দ্ররঞ্জনের সময় তাঁর অপরিণামদর্শী ব্যয় ও বিলাসীতার কারণে তা ধ্বংসের মুখে পতিত হয়। মহাজনদের বকেয়া ও সরকারি রাজস্ব পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর জমিদারী নিলাম হয়ে যায় এবং এর পরিচালনার ভার কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর অধীন চলে যায়। অতঃপর তিনি প্রায় নিঃস্ব অবস্থায় সপরিবারে কাকিনা ত্যাগ করে কার্সিয়াং-এ চলে যান। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে সেখানেই তাঁর জীবনাবসান ঘটে।

 

নিদাড়িয়া মসজিদ

 

অবস্থান

লালমনিরহাট সদর উপজেলাধীন কিশামত নগরবন্দ মৌজায় অবস্থিত। এর অবস্থান রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক হতে ২ কিমি দক্ষিনে।

সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

মোগল সুবেদার মনছুর খাঁ ১১৭৬ হিজরীতেমসজিদটির জন্য ১০.৫৬ একর জমি দান করেন এবং মসজিদটি নির্মান করেন। ঐ সময়ের মোতয়াল্লি ছিলেন ইজার মাহমুদ শেখ , বিজার মাহমুদ শেখ, খান মাহমুদ শেখ প্রমূখ। সুবেদার মনছুর খাঁর দাড়ী না থাকায় তার নির্মিত্ত মসজিদটি নিদাড়ীয়া মসজিদ হিসেবে জনগন অবহিত করে আসছে মর্মে জনশ্রূতি রয়েছ। বর্তমানে স্থানীয় জনগন মসজিদটিতে নামাজ আদায় করেন।

 

হারানো মসজিদ

 

অবস্থান

রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের ১ কিমি দক্ষিনে লালমনিরহাট উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় এ প্রাচীন মসজিদটি অবস্থিত।

সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

লালমনিরহাট সদর উপজেলাধীন পঞ্চগ্রাম ইউনয়নের রামদাস মৌজায় রংপুর কুড়িগ্রাম মহাসড়কের অনতিদূরে বহুদিন ধরে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। এ জঙ্গলের নাম মজদের আড়া। স্থানীয় ভাষায় আড়া শব্দের অর্থ জঙ্গলময় স্থান।কেউ হিংস্র জীব-জন্তু, সাপ-বিচ্ছু ইত্যাদির ভয়ে ভেতরে প্রবেশ করতো না। জঙ্গল পরিস্কার করতে যেয়ে বেরিয়ে আসে প্রাচীন কালের তৈরী ইট যার মধ্যে ফুল অংকিত। এমনিভাবে মাটি ও ইট সরাতে গিয়ে একটি পূর্ন মসজিদের ভিত বেরিয়ে আসে। এর মধ্যে ৬’’×৬’’×২’’ সাইজের একটি শিলালিপি পাওয়া যায় যার মধ্যে ষ্পষ্টাক্ষারে আরবীতে লেখা আছে ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ, হিজরী সন ৬৯। তখনই স্থানীয় লোকদের মনে প্রত্যয় জম্মে যে, এটি-একটি প্রচীন মসজিদের ধ্বংসাবশেষ। বর্তমানে সেখানে একটি মসজিদ নির্মান করা হয়েছে।

Exit mobile version