অনেকের ধারণা নেই কত সুন্দর প্রাকৃতিক রূপে সেজে আছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মহামায়া লেক। প্রায় ১১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই লেকটি যেন কোনো শিল্পীর ক্যানভাসে কল্পনার রঙে আঁকা ছবি। অসংখ্য পাহাড়ের বুক চিরে আসা ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড়ি ছড়ার মিলন মোহনায় রয়েছে স্বচ্ছ সবুজ জলাধার। পাহাড়ি ঝরনা প্রবাহ হতে সৃষ্ট জলধারা এর সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এখানে রয়েছে অসাধারণ পাহাড়ি গুহা এবং ঝর্ণা। বোটে করে লেক পার হয়ে দূর পাহাড়ে অবস্থিত ঝর্ণার শীতল পানির ছোঁয়া নিয়ে আসতে পারেন। এই প্রকল্প বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে, এটি লেকের পানি থেকে পার্শ্ববর্তী এলাকার সেঁচের পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে এবং ভবিষ্যতে জল বিদ্যুৎ প্রকল্প করার জন্য এই প্রোজেক্ট হাত নিয়েছে।

মহামায়া লেক কোথায় অবস্থিত?
চট্টগ্রাম শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার উত্তরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার ৮ নম্বর দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঠাকুরদিঘী বাজার থেকে দেড়/দুই কিলোমিটার পূর্বে পাহাড়ের পাদদেশে এর অবস্থান।
কিভাবে মহামায়া লেক যাওয়া যায়?
চট্টগ্রাম নগরীর মাদার বাড়ি এলাকা কিংবা অলংকার সিটি গেইট থেকে সরাসরি বাসে করে মিরসরাই থানার ঠাকুর দিঘী নামক বাজারে নামতে হবে। সেখান থেকে কিছু দূর হেঁটে গেলেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেক।
যাতায়াতের মাধ্যম: বাস, মাইক্রোবাস, জীপ, সিএনজি ও ট্যাক্সি।

কোথায় থাকবেন?
চট্টগ্রাম নিকটে বলে বন্দরনগরীতেই থাকা যায়। এছাড়াও মিরসরাইয়ে থাকতে চাইলে বেশকিছু ডাকবাংলো এবং আবাসিক হোটেল আছে।
কোথায় খাবেন?
পার্কে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা নেই। নিজ থেকে খাবার নিয়ে যেতে হবে। ঠাকুরদিঘী বাজারে ছোট হোটেল আছে দেশী খাবার খেতে পারবেন। মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড বাজারে গেলে মোটামুটি মানের আরো কিছু খাওয়ার হোটেল পাবেন সেখান থেকে খেয়ে নিতে পারবেন। সীতাকুণ্ডের পৌরসভার সামনে আল আমিন হোটেলের বেশ সুনাম রয়েছে।

আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
মহামায়া লেক ভ্রমণ করেও মিরসরাই ও সীতাকুন্ডের আশেপাশে যে সকল স্থান দেখতে পারেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দর্শনীয় স্থান হলো:
- খৈয়াছড়া ঝর্ণা
- নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা
- কমলদহ ঝর্ণা
- সীতাকুন্ড ইকোপার্ক
- চন্দ্রনাথ পাহাড়
- ঝরঝরি ঝর্ণা
- বাঁশবাড়িয়া সী বিচ
- গুলিয়াখালি সী বিচ
- কুমিরা সন্দ্বীপ ঘাট
আরও দেখুন: